ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাত কম খাচ্ছে দেশের মানুষ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
ভাত কম খাচ্ছে দেশের মানুষ ভাত কম খাচ্ছে দেশের মানুষ

ঢাকা: ছয় বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন ভাত কম খাচ্ছে, তবে বেশি খাচ্ছে ডাল, শাক-সবজি, মাংস ও ডিম। ২০১০ সালে যেখানে একজন মানুষ দৈনিক ৪১৬ দশমিক ০১ গ্রাম চালের ভাত খেতেন, সেখানে এখন খাচ্ছেন ৩৬৭ দশমিক ১৯ গ্রাম। ফলে ছয় বছরের ব্যবধানে দেশবাসী ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে দৈনিক ৪৬ দশমিক ৮২ শতাংশ গ্রাম।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে-২০১৬ এর প্রকাশিত রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়।
 
সারা দেশের ২ হাজার নমুনা এলাকায় ৪৬ হাজার ৮০টি খানায় (পরিবার) এ জরিপ অনুষ্ঠিত হয়।

এ জরিপে খানার আয়-ব্যয়, ভোগ, পুষ্টিমান, জীবনযাত্রার মান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য জরিপও করা হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালে এই জরিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
 
প্রকাশিত রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, ২০১৬ সালের জরিপ অনুযায়ী মোট খাদ্য গ্রহণের হার আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ২০১০ সালে দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ছিলো এক হাজার গ্রাম যা ২০১৬ সালে দাঁড়ায় ৯৭৬ গ্রাম। চাল ও আটার গ্রহণের পরিমাণ কমলেও বেড়েছে অন্যান্য খাবার গ্রহণের হার। ২০১০ সালে মোট ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ ছিলো দৈনিক ২ হাজার ৩১৮ গ্রাম বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১০ গ্রাম। প্রোটিন গ্রহণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৮০ গ্রাম, ছয় বছর আগে যা ছিলো ৬৬ দশমিক ২৬ গ্রাম।
 
প্রথমবারের মতো খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় খাদ্যের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং খাদ্য ব্যয় ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১০ সালে খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ছিলো ৪৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্য ব্যয় ছিলো ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রিপোর্টে দেখা গেছে মানুষ ভাত কম খাচ্ছে। ভাতের বদলে শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি খাচ্ছেন এটা ভালো দিক। শাক-সবজি বেশি খেলে মানুষের আয়ু অনেক বাড়বে। তবে দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাই দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান আপনারা পানি বেশি বেশি করে খান। নিয়মিত সকালে হাঁটাহাঁটি করেন আরও ভালো থাকবেন। ’
 
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে দারিদ্রের হার কমেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এটা আরও একটা সফলতা। আমরা বলতে পারি ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে আর কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না। ২০৪১ সালের আগেই আমরা এই সফলতা অর্জন করবো। এখন গ্রামে গেলে গ্রাম মনে হয় না। সবখানেই উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। কোনো গ্রামে ছয় মাস পরে গেলে আর চেনা যায় না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এমআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।