ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লালন আখড়াবাড়িতে বিদায়ের সুর...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
লালন আখড়াবাড়িতে বিদায়ের সুর... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লালন আখড়াবাড়ি থেকে: বিদায় বেলায় বিষাদের সুর বাজছে ছেউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়িতে।

পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে শেষ হয়েছে সাধুসঙ্গ। সাঁইজির ধাম ছেড়ে আবেগঘণ পরিবেশে আপন নীড়ে চলে যাচ্ছেন সাধুরা।

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৭তম তিরোধান দিবসে সাঁইজির আখড়াবাড়িতে সাধুর হাট বসেছিল পয়লা কার্তিক।

সাধুসঙ্গ শেষে হতেই ইতোমধ্যে সাঁইজির আশ্রম ছাড়ছেন সাধু-ভক্তরা। বিদায় বেলায় তাদের চোখে-মুখে বিষাদের ছাপ।

সাধু আকবর আলী শাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যখন সাঁইজির আশ্রমে আসি তখন আমাদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। আর যখন যাই তখন মন মানে না। কষ্টে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না।

ফকির শফিক শাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখানে আসি আত্মার শুদ্ধির জন্য। সাঁইজির আশ্রমে এসে আমাদের আত্মশুদ্ধি করাটাই মূল উদ্দেশ্য। সাঁইজির দর্শন নিয়ে চলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

প্রবীণ সাধু নহির শাহ বাংলানিউজকে বলেন, সাঁইজির দেখিয়ে যাওয়া দর্শনই আমাদের আদর্শ। তিনি তার গানের মধ্য দিয়ে আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএসময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বিদায় বেলায় সাধুদের যে কি কষ্ট হয় তা সাধু না হলে বোঝা যাবে না।

সাঁইজীর মাজারের খাদেম মহম্মদ আলী শাহ বাংলানিউজকে বলেন, সাঁইজির আখড়াবাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে পূণ্যসেবার মধ্য দিয়ে সাধুদের সাধুসঙ্গ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে সাধুরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। কিছু কিছু সাধু রয়েছেন যারা লালন মেলা শেষ করে ফিরবেন।

বিদায় বেলায় চোখে পানি ধরে রাখতে পারছেন না দুর-দুরান্ত থেকে আসা সাধুভক্তরাও।

বাংলাদেশ সময়: ১১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।