ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে রাজনীতির চর্চা করবেন না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে রাজনীতির চর্চা করবেন না তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

ঢাকা: সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ইতিহাস ও রাজনীতির চর্চা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূত্রপাত ঘটান বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত যে কোন ব্যক্তি তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারই হোক বা অন্য কেউ হোক তিনি ইতিহাস ও রাজনীতির চর্চা করবেন না।

নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয় এমন কোন বক্তব্য দেবেন না।

তিনি বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র নয় সামরিকতন্ত্রের প্রবক্তা। খুন ও খুনিদের হালাল করার কাজ করেছেন এবং রাজাকার আমদানি ও পুনর্বাসনের কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমানের শাসনকাল আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ঘোষিত।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির ২০ দফা প্রস্তাব নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য নয়, রোড ব্লক করতেই দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করলে নির্বাচনের ছয়মাস আগে স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এসব প্রস্তাব অযৌক্তিক, অস্বাভাবিক।

বিএনপির ২০ দফা প্রস্তাবের বেশির ভাগ আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) পরিপন্থী ও নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এই প্রস্তাবের আড়ালে নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের আলোচনাটা ধামাচাপা দিয়েছে এবং বিভ্রান্তির জাল তৈরির চেষ্টা করেছে। আগামী নির্বাচন বানচাল করাই বিএনপির লক্ষ্য।

বিএনপি নির্দলীয় সহায়ক সরকার, সংসদ বাতিল এবং সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা বা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্দলীয় সহায়ক সরকার সংবিধানের মূল নির্দেশনা কাঠামোর সঙ্গে যায় না। কিন্তু নির্দলীয় সরকার ও সশস্ত্র বাহিনী মাঠে থাকলে নির্বাচনী ফল বিএনপি মেনে নেবে কিনা সেই গ্যারান্টি নেই। কারণ বিএনপি জিতলে নির্বাচন সঠিক মনে করে, হারলে সেই নির্বাচন গ্রহণ করে না।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবটি চূড়ান্তভাবে একটি চক্রান্তমূলক প্রস্তাব। সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রস্তাব। সশস্ত্র বাহিনীর যে কাজ সেই কাজের বাইরে তাকে ন্যস্ত করার সুগভীর চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের লক্ষ্যে স্থির নয়, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। এজন্য তারা নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের পদ্ধতি, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষটা তারা ঝুলিয়ে রাখতে চাচ্ছে, এজন্য বিভিন্ন সময়ে তারা কথা পাল্টায়।

নির্বাচনকালীন সরকারের সময় কেন সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হবে না- সেই ব্যাখ্যায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ ঘোষণার এখতিয়ার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেই। তখন সংসদকে ডাকতে হয়। সংসদ বহাল থাকলেও এর কোন কাজ নেই ভূমিকা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।