ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঠাকুরগা‍ঁওয়ে দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
ঠাকুরগা‍ঁওয়ে দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডা ঠাকুরগা‍ঁওয়ে ধান খেতে ভোর বেলার শিশির

ঠাকুরগাঁও: উত্তরে হিমালয়ের কোল ঘেঁষা ঠাকুরগাঁও জেলা। শীত না আসতেই এখানে শুরু হয়েছে ঘন কুয়াশার খেলা। ভোরবেলা কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা।

দিনের বেলা বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর বৃষ্টির মত টুপট‍ুপ কুয়াশা পড়তে থাকে।

ভোরের দিকে কুয়াশার কারণে রাস্তার গাড়ি চলতে বিঘ্ন ঘটছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের।

দিনের প্রখর রোদে গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শীত আর গরমের খেলায় অতিষ্ঠ ঠাকুরগাঁওয়ের সব শ্রেণীর মানুষ।

তারা জানান, ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ায় শিশুদের বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় বিশেষ করে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্বর সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ,নিউমোনিয়া লেগেই থাকছে।

 কুয়াশায় ঢাকা ভোরের ঠাকুরগা‍ঁওবালিয়াডাঙ্গী থেকে আসা শিমু আক্তার বলেন, জ্বর-সর্দি-কাশিসহ ৩ বছরের মেয়ে তানিয়াকে নিয়ে দুই দিন হল ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

পীরগঞ্জ থেকে আসা ময়না জানান, ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ার কারণেই জ্বর ও সর্দি কাশি হচ্ছে। ২ বছরের ছেলেকে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখালে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।

খোচাবাড়ি থেকে আসা রুপা রানী জানান, ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ায় বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে। দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এতো বেশি যে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা নেই। তাই মেয়েকে নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে স্যালাইন দিচ্ছি।

 কুয়াশায় ঢাকা ধান খেতঠাকুরগাঁও শহরের বাসিন্দা শাহজাহান জানান, দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম আর রাতের বেলা খুব ঠাণ্ডা লাগে। শেষ রাতের দিকে কম্বল গায়ে দিতে হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের রফিকুল জানান, আমি আমার ছেলেকে প্রতিদিন সকাল ছয়টায় ঠাকুরগাঁও শহরে কোচিং করার জন্য নিয়ে আসি। কিন্তু সকালে ঘন কুয়াশা পড়ে তাই গরম কাপড় গায়ে দিয়ে বের হতে হয়। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় প্রচণ্ড গরম। এই ঠাণ্ডা আর গরম আবহাওয়ার কারণে ছোট-বড় সবার বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই লেগেই রয়েছে।

 কুয়াশায় ঢাকা ভোরের ঠাকুরগা‍ঁওঠাকুরগাঁও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকছে। আর রাতের বেলায় নেমে আসে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ার কারণেই শিশুদের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে।  

শিশুদের নিয়মিত বুকের দুধ পান করানোর জন্য আমরা মা’দের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এবং অতিরিক্ত জ্বর সর্দি-কাশি বমি ও পাতলা পায়খানা হলে হাসপাতালে নিয়ে আসার বা ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad