ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সিংড়ায় কীটনাশকপানে ২ বন্ধুর আত্মহত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
সিংড়ায় কীটনাশকপানে ২ বন্ধুর আত্মহত্যা সিংড়ায় কীটনাশকপানে ২ বন্ধুর আত্মহত্যা

নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ঘোষণা দিয়ে ইমন হোসেন (১৩) ও নিশাত হোসেন (১৪) নামে দুই বন্ধু একসঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শতভাগ শিক্ষা অর্জনকারী হুলহুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইমন হোসেন তাজপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আমিন হোসেনের ছেলে এবং নিশাত চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামের মৃত বকুল প্রামাণিকের ছেলে।

দু’জনেই হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

জানা যায়, তারা একসঙ্গে কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নিশাত বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

এর আগে তারা স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের বলে আজ তারা দু’জনই সুইসাইড করবে। তাদের দু’জনের শেষ দিন আজ। এসব কথা বলে তারা স্কুল থেকে বের হয়ে যায়। তারা স্কুল থেকে বের হয়ে হুলহুলিয়া প্রামাণিক পাড়ায় একটি পুকুর পাড়ে কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

সেখানে নিশাতের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনের মৃত্যু হয়। এর পরই তাদের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ও সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, ইমন ও নিশাত প্রতিদিনের মত স্কুলে যায়। তবে তারা এদিন ড্রেস পরে স্কুলে যায়নি। টি-শার্ট পরে গিয়েছিল। স্কুলে কিছুক্ষণ সহপাঠীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তারা আত্মহত্যা করার কথা বলে স্কুল থেকে বের হয়ে যায়।

সূত্র আরো জানায়, ইমন সিংড়া পৌর শহরের দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজ এবং নিশাত নিংগইন জোড়মল্লিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। তারা নিয়মিত স্কুলে যেত। তবে নিশাত একটু বখাটে স্বভাবের ছিল। কিন্তু তাদের কারো কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। কি কারণে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা সবার অজানা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিক বাংলানিউজকে বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থী রোববার (১৫ অক্টোবর) ১০টা ৪০ মিনিটে পোশাক ছাড়া টি-শার্ট পড়ে স্কুলে আসে। শ্রেণি শিক্ষক ইয়াকুব আলী তাদের এভাবে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেখে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিতে বলেন। কিন্তু তারা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি না নিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।