ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারমুক্ত হাত, মুক্তামনির চোখেমুখে খুশির ঝিলিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
ভারমুক্ত হাত, মুক্তামনির চোখেমুখে খুশির ঝিলিক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তিনমাস আগে গত ১১ জুলাই প্রায় সাড়ে চার কেজি ওজনের বাড়তি মাংসপিণ্ডঅলা হাতসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল মুক্তামনিকে। এরই মধ্যে কয়েক দফা অপারেশনে 'হেমানজিওমা' রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির ডানহাতের বাড়তি মাংসপিণ্ড অপসারণ করেন ডাক্তাররা।

দীর্ঘদিন পর শনিবার (১৪ অক্টোবর) তার হাতের ব্যান্ডেজ আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো ভারমুক্ত হাতটি দেখে মুক্তামনির চোখেমুখে খেলেছে আনন্দের ঝিলিক।

গত ১০ অক্টোবর তার পা থেকে চামড়া নিয়ে জুড়ে দেওয়া হয় হাতের এক অংশে। সর্বশেষ শনিবার (১৪ অক্টোবর) ড্রেসিং শেষে চামড়া জুড়ে দেওয়া অংশের ব্যান্ডেজ খুলে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে ঢামেক বার্ন ইউনিটের ৬ষ্ঠ তলার কেবিন ব্লকের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে মুক্তামনিকে। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ওই কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, বাড়তি মাংসপিন্ড অপসারণ করার পর হাতের ব্যান্ডেজের একটি অংশ খুলে রাখা হয়েছে। ডাক্তারদের পরামর্শে রাখা তাকে হয়েছে মশারীর নিচে। দীর্ঘ ধকলের ছাপ তার সারা শরীর জুড়ে। তারপরেও আজ তার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক স্পষ্ট।

ঠাণ্ডা লাগায় খানিকটা কাশছিল মুক্তামনি, তবুও তার মুখে হাসি লেগেই আছে। তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে খুশিতে সে বলতে থাকে, আমার হাত ভাল হয়ে গেছে। কাশির জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।

মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুক্তামনির পা থেকে চামড়া নিয়ে হাতের একপাশে লাগানো হয়েছিল। গতকাল সেই অংশে ড্রেসিং করার পর ব্যান্ডেজ খুলে দিয়েছেন ডাক্তাররা। মুক্তামনি ভাল আছে। তবে একটু ঠাণ্ডা লেগেছে। চিকিৎসকরা ওষুধ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই হয়েছে। আপনারা দোয়া করবেন যেন মেয়েটাকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারি।

ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে বলেন, ড্রেসিংয়ের পর যেন ইনফেকশন(জীবাণু সংক্রমণ) না হয় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাতাস লাগলে হাতটি দ্রুত শুকাতে তা সহায়ক হবে।

গত ১০ অক্টোবর মুক্তামনির হাতে আড়াই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে আংশিক চামড়া প্রতিস্থাপনের পর ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মুক্তামনির পা থেকে চামড়া নিয়ে তার হাতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে প্রায় ৫০ শতাংশ চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়। আগামী দু’সপ্তাহ পড়ে বাকি অংশের অস্ত্রোপচার করা হবে।

** মুক্তামনির হাতে চামড়া প্রতিস্থাপনের প্রথম ধাপ শেষ

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
পিএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ