ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিএনজি অটো তো নয়, যেন ফুলের বাগান!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
সিএনজি অটো তো নয়, যেন ফুলের বাগান! সিএনজি অটো তো নয়, যেন ফুলের বাগান! ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনে চড়ে দ্রুত ও সহজে  নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। অগত্যা খরচ একটু বেশি হলেও দ্রুত যাতায়াতের জন্য মধ্যবিত্তের পছন্দের বাহন সিএনজি চালিত অটোরিকশা। দ্রুত ও সহজ যাত্রার এই বাহনটিতে যদি থাকে প্রকৃতির ছোঁয়া, তাহলে তবে মন্দ কী। 

পুরো কাঠামো ঘিরে ফুলের বাগান সজ্জিত কোনো একটা সিএনজি অটো যদি সামনে এসে এ দাঁড়ায়, তখন কার না মন চাইবে এতে চড়ে বসতে!
 
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) অফিস শেষে বিকেলে এমনই এক সিএনজিচালিত অটো রিকশার দেখা মিলল।  চালকের সঙ্গে কথা ও আন্তরিক কুশল বিনিময় হলো।

নাম তার মো. সাদেক। গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছার গদখালি এলাকায়। পড়ালেখা করেছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। বর্তমানে  পরিবার নিয়ে মিরপুর ১১ নম্বরের পল্লবীতে বসবাস করছেন। তার বড় মেয়ে অর্নাসে ও ছোট মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।  সিএনজি অটো তো নয়, যেন ফুলের বাগান! ছবি: বাংলানিউজতিনি রাজধানীর কালশী রোড়ের একটি গ্যারেজের সিএনজি ভাড়ায় চালিয়ে সেই আয়ে সংসার চালান। এ সিএনজিটি তিনি গত চার বছর ধরে চালাচ্ছেন।

দু’বছর আগে তিনি সিএনজির পুরো ছাদজুড়ে বিশেষভাবে লাগিয়েছেন নানা প্রকার ফুলের গাছ। ভেতরে বিশেষভাবে তৈরি করা টবে ঝুলিয়েছেন বাহারের গাছ। সামনে অংশের উপরের দিকে টাঙানো আছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।  ফুলগাছ লাগিয়ে সিএনজি অটোটিকে রীতিমতো ফুলবাগানে রূপ দেবার অভিনব খেয়ালের বিষয়ে কারণ কি জানতে চাই। সাদেক এক বাক্যে বলেন, ‘গাছ লাগান, দেশ বাঁচান’ --এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করেই তিনি ওয়াটার প্ল্যান্ট, মানি প্ল্যান্ট, মিষ্টি আলু, নয়নতারা, পাথর চুনাসহ হরেক গাছে সাজিয়ে তুলেছেন সিএনজি অটোটি।  সিএনজি অটো তো নয়, যেন ফুলের বাগান! ছবি: বাংলানিউজযাত্রীদের আরামের জন্যই ছাদে লাগানো হয়েছে গাছ। যা প্রচন্ড রোদে যাত্রীদের গরমের হাত থেকে বাঁচাবে। আরাম দেবে, সুশীতল ছায়া দেবে। অন্যসব সিএনজির ছাদের উপরে পর্দা টানানো। প্রচণ্ড রোদে তা তেতে ওঠে।  গরমে তখন যাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়।
 
এখানেই শেষ নয়, যাত্রীদের বাড়তি আরামের ব্যবস্থা হিসেবে তার সিএনজিতে বিশেষভাবে ঝোলানো আছে একটি ফ্যানও।

বৃক্ষপ্রেমী সাদেক আরও বলেন, তিনি বিভিন্ন সরকারি জায়গায় স্বেচ্ছায় অনেক গাছ লাগিয়েছেন। তার দুই মেয়েকে তিনি বিভিন্ন গাছপালা, গাছের নানা গুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
আরআইএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ