সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সফরকালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক রফতানি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও কক্সবাজারে সরেজমিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি।
দুইদিনের এই দ্বি-পক্ষীয় সফরে রোববার সকাল ন’টায় ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সকালে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্লেনে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই হোটেল সোনারগাঁওয়ে যাবেন। সেখানেই সারাদিন বিশ্রাম নেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে চিকিৎসা শেষে দেশ ফেরায় বিদেশি কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। তাই এ যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশীয় উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সম্ভবনা নেই বলেই জানায় সূত্র।
তবে সূত্রটি বলছে, সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠক উপস্থিত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসিও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি জনশক্তি পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদি নিজ দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়টিও দেখভাল করেন। আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটিও স্থান পাবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮ টায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের উদ্দেশে বিশেষ প্লেনে চড়ে ঢাকা ছাড়বেন আহমাদ জাহিদি। পরিদর্শন শেষে ওইদিন দুপুরের পর কক্সবাজার থেকেই বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী।
জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপরও লাখ লাখ টাকা দিয়ে দেশটিতে যাওয়া হাজারো শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে অনেকেই খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন।
এরমধ্যে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে জিটুজি প্লাস চুক্তি করে কুয়ালালামপুর ও ঢাকা। এরপরও খুলেনি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দেশটিতে অবৈধভাবে যাওয়া শ্রমিকদের ধরতে বিভিন্ন সময় ধর-পাকড়ও চালিয়েছে মালয়েশীয় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
কেজেড/এমএ