ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পুরান ঢাকার অবস্থা শোচনীয়, বললেন মেয়র খোকন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
পুরান ঢাকার অবস্থা শোচনীয়, বললেন মেয়র খোকন বক্তব্য রাখছেন মেয়র সাঈদ খোকন। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, পুরান ঢাকার অবস্থা গ্রামের থেকেও খারাপ এবং শোচনীয়। বসবাসের পরিবেশ নেই। দিনদিন অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার উন্নয়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (রাজউক) একটি প্রকল্প এগিয়ে নিতে স্থানীয়দের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে মেয়র এ কথা বলেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) নগর ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।


 
বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহায়তায় ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ওল্ড ঢাকা’ শিরোনামে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় রাজউক। এতে বাবুবাজার থেকে বংশাল পর্যন্ত ১০ দশমিক ২৭ একর জমির ওপর থেকে স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন করে আধুনিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনসহ অন্য নাগরিক সুবিধা সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সবার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যার যার সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করে প্রাপ্য বুঝে দেওয়া হবে।
 
মেয়র বলেন, এক সময় জাপানের টোকিও এবং সিঙ্গাপুরও পুরান ঢাকার মতো ছিল। কিন্তু এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে তারা নগরকে বসবাসযোগ্য করে তুলেছে। ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করলে আমারও টোকিও, সিঙ্গাপুরের মতো পুরান ঢাকাকে উন্নত শহরে পরিণত করতে পারব।
 
বৈঠকে প্রজেক্ট উপস্থাপন করেন রাজউকের ডেপুটি টাউন প্ল্যানার অ্যান্ড প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে বংশাল এলাকাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৮টি ২৪তলা ভবন এবং ৬টি কমার্শিয়াল ভবন হবে। এক্ষেত্রে একেকজন ৩টি করে বাণিজ্যিক স্পেস এবং ৩টি করে ফ্ল্যাট পাবেন। এছাড়া স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, হেলথ ক্লাব ইত্যাদি থাকবে।
 
নগর ভবনের সভাকক্ষে বৈঠক।  ছবি: কাশেম হারুন এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
 
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পুরান ঢাকার পঞ্চায়েত সদস্য, ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা। তারা রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। কিন্তু উত্তর না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
 
বংশাল পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল হাই বলেন, আমাদের ভবনে দোকান আছে। ভাড়া পাই। আবার আমাদের ওয়ারিশও আছে। আর এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বলা হচ্ছে, ৩ বছরের মতো সময় লাগবে। এসময় আমরা কোথায় থাকবো। যে ভাড়া পাই, সে টাকা কে দেবে। আবার ওয়ারিশরাও কিভাবে তাদের প্রাপ্য পাবেন, এসব নিশ্চিত করতে হবে। তাই এই প্রকল্পটি অন্য জায়গায় বাস্তবায়ন করে আগে আস্থা অর্জন করুন।
 
ব্যবসায়ী এনায়েতুল্লাহ বলেন, বংশালে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তাই অন্য জায়গায় করে আগে আস্থা অর্জন করুন।
 
সাঈদ খোকন বলেন, রাজউকের প্রতি আস্থা না থাকায় কেউ এই প্রকল্প বংশালে চান না। তাই এটি স্থগিত করা হলো। তবে আমরা এ প্রকল্পটি করতে চাই। ইংলিশ রোড, বাবুবাজারের দিকে ৭ একর জমি দখলে আছে। আপনারা দখলদার উচ্ছেদে সহায়তা করুন। সেখানেই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।