ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন, সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের হস্তক্ষেপ যাতে না করতে পারে সে জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকার লাগবে এবং সেনা মোতায়েন করতে হবে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী সিরডাপ মিলনায়তনে দ্য ঢাকা ফোরাম আয়োজিত ‘ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, পকেট ইলেকশন যাতে না হয়, সে জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক রাখতে হবে। সর্বোপরি সেনা মোতায়েন করতে হবে। একই সঙ্গে যাতে নির্বাচন কমিশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকারের সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানাবে উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মইনুল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা উদ্যোগ নিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্যে লিপ্ত হয়। এটা পরিহার করতে হবে।
 
শামছুল হুদা বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে। প্রথমে সবদলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন বয়কট পরিহার করতে হবে।
গত নির্বাচনে কয়েকটি দল অংশগ্রহণ না করায় ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে জয় পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি দল যে ৭০-৮০টি আসান পেতো। আগামী নির্বাচন কোনো ভাবেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বয়কট করা যাবে না।

ভারতের বিজেপি দলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একসময় দলটি ২টি আসন পেয়েছিলো। এখন জনগণের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অংশীদারমূলক সরকার না হলে অর্থনীতি ও সংস্কৃতির উন্নয়ন আমরা ভালোভাবে করতে পারবো না। তিনি সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমেরিটাস এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এজন্য সবার আগে দরকার প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার নিরপেক্ষ না হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নির্বাচনের সময় নির্ভয়ে রদবদল করতে পারে। সেনাবাহিনী মাঠে সঠিক ভাবে কাজ করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সঠিকভাবে কাজ করলে জনগণের বিজয় হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গতবার নির্বাচন বর্জন করে বুঝতেছি। আমরা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।

সরকার ও ইলেকশন কমিশনকে সরবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের নিরাপত্তার ভোটের জন্য সহায়ক সরকার গঠন করতে হবে। আমরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে জনগণের ভোট পাহারা দেবো।

তিনি বলেন, আমরা যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি সে জন্যে এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার নামে একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে বিএনপিকে কোণঠাসা করে দেওয়া হবে।

ঢাকা ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখছেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ