প্রবারণা পূর্নিমা শেষে মাসব্যাপী এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলার বিহারে বিহারে কঠিন চীবর উৎসব শুরু হয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির কল্যাণপুর বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গুরুরা বৌদ্ধ ধর্মের অনুশাসন মেনে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
মহা উপাসিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত চীবর দানই হলো কঠিন চীবর দান উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি এবং সেই সুতায় চীবর তৈরি করা হয়ে থাকে। প্রথমে চরকার মাধ্যমে তুলা থেকে সুতা করে, সুতা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রং দিয়ে বেইনের মাধ্যমে তৈরি করা করা হয় চীবর বা কাপড়। এই চীবর পরের দিন বিকেলে দায়ক দায়িকারা উৎসর্গ (দান) করেন ভান্তেদের উদ্দেশ্যে। এই দানে অনেক পূণ্যলাভ হয় বলে বৌদ্ধা ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও কঠিন চীবর দান উৎসব উপলক্ষে বিহার প্রাঙ্গণে উষা বন্দনা, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, প্রদীপ পূজা প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। ভান্তে কর্তৃক প্রবজ্জা গ্রহণ, পরজন্মে জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে পিদিমা বা কল্পতরু দান করেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এমজেএফ