নদ, নদী, জলাশয় বা ডোবা নয়। সড়কের দিকে ছেড়ে দেয়া আশেপাশের মহল্লার নর্দমার ঢল এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দিকে।
সড়ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, এই কচুরিপানাই মূলত পরিহাস করছে কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দায়িত্বহীনতা আর অবহেলাকে।
কারণ কচুরিপানার উর্বর ক্ষেত্র এখন সড়কটিকেই গ্রাস করছে। কিভাবে?
পাড়া মহল্লার নর্দমার পয়োবর্জ্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে জমে জমে বেড়ে উঠেছে এই কচুরিপানা। আর কচুরিপানার নিচে থাকা দূষিত নর্দমার পানি গিলে খাচ্ছে রাস্তাকে। বলছিলেন সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিন সিংহ।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শিমুলতলার অদূরে জিলিয়ান চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে এসে থেমেছে নর্দমার ঢল। সেখানেই বেড়ে ওঠার পরিবেশ পেয়েছে এই কচুরিপানার দল। যে কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। বিনষ্ট হয়ে গেছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এ অংশটি।
বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন,এলাকাবাসী সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার ধারাবাহিকতায় এখন নর্দমায় ঢল নামিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে রাস্তাটিই এখন ঝুঁকির সম্মুখীন।
‘এই সড়ক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতায়াত করলেও কারো নজরে আসেনি যে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে নর্দমার পয়বর্জ্য জমে জমে আজ কচুরিপানা বেড়ে ওঠার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আর কর্মকর্তারাই কি করেন। তাদের দায় দায়িত্ব বলে কি কিছু নেই-ক্ষোভের সঙ্গেই কথাগুলো বলছিলেন গৃহবধূ সানজিদা ইয়াসমিন।
তার মতে, এখান দিয়ে নাক মুখ চাপা দিয়ে যেতে হয়। আর কচুরিপানার কারণে এখান দিয়ে বেশ ঝুঁকির সাথে সড়কটি অতিক্রম করতে হয়।
জিয়া উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তার পাশে স্থায়ী নর্দমা সৃষ্টি হওয়ায় সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপাকে পড়েছে। কাস্টমাররা নর্দমা ডিঙ্গিয়ে আসতে পারে না। তাই ব্যবসা গুটিয়ে আমাদের চলে যেতে হচ্ছে।
সড়ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের পাশে জল জমে এখানে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এই কচুরিপানার কারণে রাস্তাটাই হুমকির মুখে পড়েছে। ক্ষয়ে গেছে জায়গায় জায়গায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কল্যাণপুর উপ-বিভাগের প্রকৌশলী মনসুরুল আজিজ তারেক বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের পাশে কচুরিপানা উঠে গেছে! তাই না কি! দাড়াঁন আজই দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
জেডএম/