লাবনীর ভাই মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ার বাসিন্দা আরিফ হোসেন অভিযোগ করেন, এক বছর আগে শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া রামনগর গ্রামের মানিক খানের ছেলে রাজু খানের সঙ্গে তার বোন লাবনীকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে রাজুসহ তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে লাবনীকে নির্যাতন করে আসছিল।
একপর্যায়ে লাবনী সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে সন্তান প্রসবের কথা বলে তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে মাগুরা শহরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ৫-৬ দিন আগে রাজু নিজ বাড়িতে ডেলিভারি করানোর কথা বলে লাবনীকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। লাবনীকে নিয়ে গিয়েই রাজু তাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ দুই লাখ টাকা এনে দেওয়া জন্য চাপ দেয়। কিন্তু লাবনী টাকা আনতে পারবে না বলে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় রাজু।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে লাবনীর প্রসব বেদনা উঠলে শুক্রবার সকালে তাকে শ্রীপুরে সততা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানকে হত্যার জন্য ক্লিনিকের হাতুড়ে ডাক্তার মোহনের সঙ্গে চুক্তি করে। সে মোতাবেক মোহন ডেলিভারির সময় নবজাতকটিকে কৌশলে হত্যা করে। একইভাবে প্রসূতিকে হত্যার জন্য তার জরায়ুরসহ পেটের নারী-ভুড়ি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় রাজু তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে গিয়ে প্রসবের সময় স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে।
খরব পেয়ে লাবনীর বাবার বাড়ির লোকেরা এসে তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মমতাজ মজিদ নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে প্রসূতি লাবনীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত রাজুসহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সততা ক্লিনিকের মালিক মোহন মিয়া জানান, তিনি ডেলিভারি করেছেন। তবে হত্যার অভিযোগ সত্য নয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। নবজাতকের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ