শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের চুপড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। দেলোয়ার ওই গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে।
চুপড়িয়া গ্রামের সুমন দাশ বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ওই গৃহবধূকে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে পেছন দিক থেকে মুখ বেধে ফেলে নির্যাতনকারীরা। পরে জোর করে তার মুখের ভেতরে একটি ওষুধ ঢুকিয়ে দেয় তারা।
তিনি আরও জানান, গৃহবধূকে অজ্ঞান করে নির্যাতনকারীরা তার শাড়ি খুলে সেই শাড়ি দিয়েই মুখ, দুই হাত ও দুই পা গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এছাড়াও গৃহবধূর চুল কেটে ফেলে ও গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য এরশাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হওয়া জরুরি।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্ঞান ফিরলে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাংলানিউজকে জানান, তিনি যখন ধানক্ষেতে ঘাস কাটছিলেন তখন তার পাশে একই এলাকার দেলোয়ার ও গোলাম পরোয়ার ছিলেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি শুনেই তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দেলোয়ারকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
টিএ