তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বয়ড়াপাড়া আলমনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমজাদ আলীর ছেলে।
সরেজমিন জানা যায়, হৃদয় গাজীপুর একটি পেপার মিলে চাকরি করেন।
হৃদয় বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে নেট অন করার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল স্ক্রিনে একটা অ্যাপ ভাসতে থাকে। ব্লু হোয়েল গেম সম্পর্কে আমি শুনেছি, তারপরও কৌতুহলবসত আ্যাপটি ওপেন করি। এরপর একটা কল আসে আমি রিসিভ করলে একজন অ্যাডমিনের নির্দেশে শুরু হয় গেম খেলা। শুরুর দিকে বেশ কিছু মজার মজার ধাপ পার করি। পরে আসে চ্যালেঞ্জিং ধাপ।
২০ দিন ধরে খেলা গেমটির কত পর্ব হৃদয় খেলেছেন বা কি কি কাজ করেছেন এমন কোনো প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট জবাব তিনি দিতে পারেননি।
হৃদয় আরো বলেন, আমার তেমন কিছু মনে নেই, তবে গেমটি খেলতে খেলতে আমার হাতে তিমি মাছের ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। আমি হাত কেটে কীভাবে ছবি এঁকেছি তাও জানি না। রাতে কি করেছি আমার কিছুই মনে নেই।
হৃদয়ের নানা আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, হৃদয়কে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছি আমরা। তার মোবাইল ফোনসহ সিমকার্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এইসব জীবনঘাতী গেম যেন ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছাতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
হৃদয়ের মা হাজেরা বেগম ছেলের প্রাণ হারানোর ভয়ে ভেঙে পড়েছেন। তারও দাবি এমন মরণ খেলা যেন সন্তানদের কাছে না আসে। হৃদয়কে পারিবারিকভাবে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে বর্তমানে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে শঙ্কামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ