ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত যুবক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত যুবক ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হৃদয়

টাঙ্গাইল: আত্মঘাতী গেম ব্লু হোয়েল খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন হৃদয় (২০) নামে এক যুবক।

তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বয়ড়াপাড়া আলমনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমজাদ আলীর ছেলে।

সরেজমিন জানা যায়, হৃদয় গাজীপুর একটি পেপার মিলে চাকরি করেন।

ফেসবুক ব্যবহার করতে করতে ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে বুধবার (১১ অক্টোবর) তিনি ব্লেড দিয়ে কেটে হাতে তিমি মাছের ছবি আঁকেন এবং সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে পোস্ট করা সেই ছবিটি হৃদয়ের মামা সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের নজরে আসে। কবির সৌদি থেকে বিষয়টি তার স্বজনদের জানালে তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার রাতেই তার পরিবারের লোকজন হৃদয়কে গাজীপুর থেকে নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলে নিয়ে আসেন।

হৃদয় বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে নেট অন করার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল স্ক্রিনে একটা অ্যাপ ভাসতে থাকে। ব্লু হোয়েল গেম সম্পর্কে আমি শুনেছি, তারপরও কৌতুহলবসত আ্যাপটি ওপেন করি। এরপর একটা কল আসে আমি রিসিভ করলে একজন অ্যাডমিনের নির্দেশে শুরু হয় গেম খেলা। শুরুর দিকে বেশ কিছু মজার মজার ধাপ পার করি। পরে আসে চ্যালেঞ্জিং ধাপ।

২০ দিন ধরে খেলা গেমটির কত পর্ব হৃদয় খেলেছেন বা কি কি কাজ করেছেন এমন কোনো প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট জবাব তিনি দিতে পারেননি।

হৃদয় আরো বলেন, আমার তেমন কিছু মনে নেই, তবে গেমটি খেলতে খেলতে আমার হাতে তিমি মাছের ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। আমি হাত কেটে কীভাবে ছবি এঁকেছি তাও জানি না। রাতে কি করেছি আমার কিছুই মনে নেই।

হৃদয়ের নানা আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, হৃদয়কে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছি আমরা। তার মোবাইল ফোনসহ সিমকার্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

এইসব জীবনঘাতী গেম যেন ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছাতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।

হৃদয়ের মা হাজেরা বেগম ছেলের প্রাণ হারানোর ভয়ে ভেঙে পড়েছেন। তারও দাবি এমন মরণ খেলা যেন সন্তানদের কাছে না আসে। হৃদয়কে পারিবারিকভাবে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে বর্তমানে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে শঙ্কামুক্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।