ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বড়ইতলা গণহত্যা’ দিবস পালিত, বিচার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
‘বড়ইতলা গণহত্যা’ দিবস পালিত, বিচার দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের বড়ইতলায় সংঘটিত গণহত্যার স্মরণে ‘বড়ইতলা গণহত্যা’ দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, এবি ছিদ্দিক, ডেপুটি কমান্ডার মো. বাসির উদ্দিন ফারুকী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আতাউর রহমান, যশোদল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজনসহ শহীদ পরিবারের লোকজন, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

পরে সেখানে আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

আলোচনা সভায় বক্তারা বড়ইতলায় সংগঠিত গণহত্যার বিচার দাবি করেন। দৃষ্টি নন্দন স্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অসহায় পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও দোয়া মাহফিলে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের বড়ইতলায় ৩৬৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশীয় রাজাকার ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত যুদ্ধাপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও তাদের বিচার হয়নি। এই দিনটি এখন বড়ইতলা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে কিশোরগঞ্জবাসী।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বাংলানিউজকে জানান, বড়ইতলার নির্মম গণহত্যাকাণ্ডের ঐতিহাসিক স্থানটিকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। স্থানটি আরও সৌন্দর্য বর্ধন ও দেয়াল নির্মাণসহ শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।