বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দিনভর কমিটি তদন্ত কাজ পরিচালনা করে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহেল বাকি।
তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ মোবারক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টায় কালাই উপজেলায় হারুঞ্জা শাহ্ পাড়া গ্রামে ঘটনাস্থলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার পলাতক আসামি শাপলা হোসেনের বাড়িতে তদন্ত কাজ শুরু হয়।
এ সময় আসামি মেহেদি হাসান শাপলা ও নিহত সাইদুরের পরিবার এবং গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা তদন্ত কমিটির প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিকেলে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কালাই থানায় গিয়ে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
গত সোমবার (৯ অক্টোবর) ভোরে কালাই উপজেলার হারুঞ্জা শাহ্ পাড়া গ্রামে পলাতক আসামি মেহেদি হাসান শাপলাকে ধরতে গিয়ে পুলিশের মারধরে সাইদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হন কালাই থানার দুজন এসআইসহ চার পুলিশ।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আদালতে চার পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাইদুরের বাবা কাজেম আলী। ঘটনা তদন্তে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এমএসি/এমজেএফ