ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডুবে যাওয়ার ২৮ ঘণ্টা পর শ্রমিকে জীবিত উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
ডুবে যাওয়ার ২৮ ঘণ্টা পর শ্রমিকে জীবিত উদ্ধার উদ্ধার হওয়া সোহাগ

নারায়ণগঞ্জ: নিখোঁজের ২৮ ঘণ্টা পরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া শ্রমিককে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ডুবুরি দল।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে টানা তৃতীয় বারের মতো অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

বিআইডব্লিউটিসি’র ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গত কয়েক বছরে অন্তত সাতটি নৌযান ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার শ্রমিকদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজেকে বলেন, বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে বন্দর উপজেলার ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী সোনাচড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিসি’র ডকইয়ার্ডের সামনে ডুবে যাওয়া ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমভি মুছাপুর নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় সোহাগ (৩২) নামে এক গ্রিজার নিখোঁজ হয়।  

নিখোঁজ সোহাগ নওগাঁ জেলার শিকারপুর দোহারিকা এলাকার বাসিন্দা। ডুবে যাওয়া এমভি মুছাপুর বাল্কহেডটির মালিক কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার নলচর এলাকার অলিউল্লাহ।

তিনি বলেন, বালুবাহী বাল্কহেডটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া বালু বোঝাই করে রূপগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলো। ডুবন্ত ফেরির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ার পরে বাল্কহেডটিতে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও গ্রিজার সোহাগ নিখোঁজ হয়ে যায়।

ওই ঘটনার পরে বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল, বন্দর থানা পুলিশ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএকে খবর দেওয়া হয়। পরে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিনব্যাপী তল্লাশি চালালেও নিখোঁজ শ্রমিকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর গ্রিজার সোহাগকে জীবিত উদ্ধার করে বলও জানান সবুজ শিকদার।

নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাহের খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, উদ্ধার হওয়া শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছ। এখন তার অবস্থা অনেটা ভলো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

উদ্ধার হওয়া শ্রমিক সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, ডুবে যাবার পর থেকেই ইঞ্জিন রুমে আটকা পড়ি। সেখান থেকে বিকেলের দিকে প্রায় অচেতন অবস্থায় ডুবুরি দল আমাকে উদ্ধার করে।

বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর হাসিব আকন্দ দীপু বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচজন শ্রমিকের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একজন নিখোঁজ ছিল। তাকে বিকেলে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।