ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুলের ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টার’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুলের ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টার’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা: সফল উদ্যোক্তা মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুল আক্তার। মাশরুম নিয়ে স্বপ্ন দেখে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টার’। ১০-১৫টি মাশরুম নিয়ে ছোট্ট একটি খুপরি ঘরে তার যাত্রা শুরু করেন তিনি। এখন তার ‘ড্রিম মাশরুম সেন্টার’ ফার্মটি দেশের সবচেয়ে বড় মাশরুম কেন্দ্র, এমন দাবি জেলা কৃষি কর্মকর্তা পার্থ প্রিতম সাহা’র।

এ ব্যাপারে বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নিজের প্রতিষ্ঠানে মাশরুমের বীজ উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ দেন তিনি। মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ক্যাপসুল ও পাউডার তৈরি করে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন।

এ জন্য তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ না পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা সনদপত্র পেয়েছেন।

তার সফলতা দেখে তারই পরামর্শে বড়খড়ি গ্রামসহ এ অঞ্চলের প্রায় বাড়িতেই এখন অনেকেই মাশরুম উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও জানান, এ সেন্টারে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ কেজি কাঁচা মাশরুম তোলা হয়। শুকানোর পরে সেগুলো ৩০ কেজি ওজন হয়। যার মূল্য প্রতি কেজি ১৫০০ করে ধরে ৪৫ হাজার টাকা। এ ফার্মের মাসিক বিক্রি ৮-১০ লাখ টাকা। এতে প্রতি মাসে আয় হয় ২ লাখ টাকা।

১০০ টাকা খরচ করে ১৫টি মাশরুম বীজ দিয়ে শুরু করে বাবুল আজ দুই কোটি টাকার মালিক। নয় ভাই-বোনের মধ্যে অষ্টম বাবুল নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পেরেছিলেন।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা পার্থ প্রিতম সাহা বাংলানিউজকে জানান, ড্রিম মাশরুম সেন্টারে দুই জাতের মাশরুম উৎপাদন করা হয়। ওয়েস্টার ও গ্যানোডর্মা। এসময় এ কর্মকর্তা দাবি করে বলেন, ড্রিম মাশরুম সেন্টার’ ফার্মটি দেশের সবচেয়ে বড় মাশরুম কেন্দ্র।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ‘মাশরুম বাবুল’র মতো বাংলাদেশের সব জেলায় স্বপ্নবান তরুণ-তরুণীরা শুরু করুক তাদের স্বপ্নযাত্রা।

তিনি আরও জানান, তিনি এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদকে অনুরোধ করছেন বাবুলের মাশরুম ফার্মটি পরিদর্শন করার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।