এ ব্যাপারে বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নিজের প্রতিষ্ঠানে মাশরুমের বীজ উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ দেন তিনি। মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ক্যাপসুল ও পাউডার তৈরি করে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন।
তার সফলতা দেখে তারই পরামর্শে বড়খড়ি গ্রামসহ এ অঞ্চলের প্রায় বাড়িতেই এখন অনেকেই মাশরুম উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও জানান, এ সেন্টারে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ কেজি কাঁচা মাশরুম তোলা হয়। শুকানোর পরে সেগুলো ৩০ কেজি ওজন হয়। যার মূল্য প্রতি কেজি ১৫০০ করে ধরে ৪৫ হাজার টাকা। এ ফার্মের মাসিক বিক্রি ৮-১০ লাখ টাকা। এতে প্রতি মাসে আয় হয় ২ লাখ টাকা।
১০০ টাকা খরচ করে ১৫টি মাশরুম বীজ দিয়ে শুরু করে বাবুল আজ দুই কোটি টাকার মালিক। নয় ভাই-বোনের মধ্যে অষ্টম বাবুল নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পেরেছিলেন।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা পার্থ প্রিতম সাহা বাংলানিউজকে জানান, ড্রিম মাশরুম সেন্টারে দুই জাতের মাশরুম উৎপাদন করা হয়। ওয়েস্টার ও গ্যানোডর্মা। এসময় এ কর্মকর্তা দাবি করে বলেন, ড্রিম মাশরুম সেন্টার’ ফার্মটি দেশের সবচেয়ে বড় মাশরুম কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ‘মাশরুম বাবুল’র মতো বাংলাদেশের সব জেলায় স্বপ্নবান তরুণ-তরুণীরা শুরু করুক তাদের স্বপ্নযাত্রা।
তিনি আরও জানান, তিনি এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদকে অনুরোধ করছেন বাবুলের মাশরুম ফার্মটি পরিদর্শন করার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
টিএ