ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্য জরুরি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্য জরুরি  ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য জাতীয় ঐক্য জরুরি। কারণ এটি ভয়াবহ নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারকে কূটনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সমস্যা: প্রেক্ষিত, বর্তমান পরিস্থিতি আর সম্ভাব্য করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের নির্বাহী সদস্য আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি বলেন, এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত কত রোহিঙ্গা এদেশে আসবে। তাই তাদের নিবন্ধন, আশ্রয় শিবির নির্মাণ, ত্রাণ কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকরণ, পয়ঃনিষ্কাশন, পানি সরবরাহ ও চিকিৎসা ইত্যাদি শুরুতেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়, যে সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ’

এ সময় রোহিঙ্গাদের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন আলী ইমাম মজুমদার।  

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট জাতীয় জীবনে এক বড় বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটি আরও প্রকট হতে পারে। ১৯৭৮ সালে থেকে এ সমস্যার শুরু। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে আমাদের দেশের সরকার এর ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।  

‘আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই। শরণার্থীদের মিয়ানমার তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা,’ বলেন তিনি।  

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর চাপ সহ্য করা দুরূহ হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু ভয়াবহ নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এ বিরাট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। স্বার্থান্বেষী মহল এসব মানুষকে ব্যবহার করে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো রিজিয়নকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ’ 

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘একাত্তরের পরে এ ধরনের জাতীয় দুর্যোগ আর আসেনি। এ সংকটের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব রয়েছে। ’  

সমগ্র জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সংকটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে ড. সি আর আবরার বলেন, ‘কিভাবে যে তারা দিনাতিপাত করছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। শিশুগুলো এতিমের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। গর্ভবতী নারীদের অবস্থাও শোচনীয়। ’ 

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে অবশ্যই ফেরত পাঠাতে হবে এবং এ জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে। ’

গোলটেবিল বৈঠকে মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফয়েজ আহমদ, নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমইউএম/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ