ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২৩ অক্টোবর মিয়ানমার যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
২৩ অক্টোবর মিয়ানমার যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ফেরত এবং তাদের নতুন ঢল বন্ধে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগামী ২৩ অক্টোবর (সোমবার) মিয়ানমার যাচ্ছে।

মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের দুই সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক সেখানে যাবেন।
 
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপেকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানান।


 
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারের অনুরোধে আমি খুব সম্ভবত ২৩ অক্টোবর যাবো। আমাদের যে অমীমাংসিত এজেন্ডা ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
 
২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই সফরে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি প্রাধ্যান্য পাবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
‘সবচেয়ে মূল, যেটার জন্য আমরা যাচ্ছি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আমরা চাইবো, এদের কতো তাড়াতাড়ি আমাদের দেশ থেকে নিয়ে যাবে। সেটাই আমাদের আলোচনার মূল এজেন্ডা থাকবে। ’
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগের পাঁচ লাখ ছিল। এখনো পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ইউএনএইচসিআর’র প্রতিবেদন অনুযায়ী ছয় লাখ এবং আমাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় এই রকমই। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের ভেতরে ঢুকে গেছে। প্রতিনিয়তই এরা আসছে, আমাদের দেশের জনগণ এদের খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে।
 
‘আমাদের আহ্বান থাকবে সেখানে সেই পরিবেশ তৈরি করবে মিয়ানমার সরকার, যাতে করে এই ধরনের জনগোষ্ঠী নিজের আবাসস্থলসহ সব কিছু ত্যাগ না করে যাতে এখানে না আসে এবং যারা আসছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। ’
 
রাখাইনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি চাইবো। যদি তারা আমাকে অনুমতি দেয় অবশ্যই যেতে চাইবো।
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর যখন এসেছিল তখন চারটি সিদ্ধান্ত ছিল। তিনটি বিষয়ে সমঝোতা সই এবং ইনস্ট্রুমেন্ট হ্যান্ডওভার করা। পূর্ব নির্ধারিত চারটি বিষয়ের সঙ্গে এখনকার মূল এজেন্ডা- আমাদের রাষ্ট্রদূত সেখানে কথাবার্তা বলছেন, সেই এজেন্ডার ওপর জোর দেবো। আমরা চাই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করতে।
 
রোহিঙ্গা ঢল থামানো হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, থামানো হচ্ছে না, সেটি সঠিক না। বিজিবি, কোস্ট গার্ড সেখানে রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের নিরুৎসাহিত করছি, বাধা দিচ্ছি। একদিকে তাদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন, তখন মানবিক কারণে মাঝে মাঝে ঢুকে পড়ে। অত্যন্ত দুর্গম এলাকাতেও তারা ঢুকে পড়েছে। এই সফরের মাধ্যমে অবস্থার উন্নতি হবে বলে মনে করছি।
 
ভাষানচরে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পাঁচ লাখের সঙ্গে পূর্বের পাঁচ লাখ আমাদের দেশে রয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। সবকিছুর পরে তারা রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, তাদের এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাতে করে তারা একসঙ্গে থাকতে পারে। উখিয়া এবং টেকনাফে যে বনাঞ্চল ও সামাজিক বিপর্যয় ঘটছে সেই জায়গা থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। উখিয়া ও টেকনাফের চারগুণ জনবসতি অবস্থান করছে। তারা মানবতর জীবন-যাপন করছে, সেজন্য ভাষানচরে থাকার মতো পরিবেশ তৈরি করে নিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।