সে কৌতূহলবসত ব্লু হোয়েল গেম খেলতো। খেলার নির্দেশনা মানতে গিয়ে নিজের শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষত করে ফেলে সে।
ওই কিশোর জানায়, ‘চ্যালেঞ্জিং হওয়ায় আমি গেমটি খেলা শুরু করি। অ্যাডমিনরা অনেক সময় অপমান করে কথা বলতো, তাই আমি চ্যালেঞ্জগুলো পার করতাম। এখন একটু অসুস্থ বোধ করছি। আম্মুকে বলেছিলাম এখানে আনলে আমি ভালো হবো না। তাও আমাকে নিয়ে এসেছে। ’
ওই কিশোর বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের একটি পেয়িং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা তার ডান হাতে ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কিশোরের বাবা বাংলনিউজকে জানান, তারা মিরপুর এলাকার বাসিন্দা। তার ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলো।
তিনি আরও জানান, ‘কোরবানীর ঈদের পর থেকে আমার ছেলের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। সে ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করতো না, খালি মোবাইলে গেমস খেলতো। অফিস শেষে বাসায় এসে জানতে পারি সে রাতে মোবাইল নিয়ে ছাদে হাঁটাহাঁটি করে। ’
ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবন ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিনহাজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাত্রিকালীন ডিউটিতে এসেছি। আমার আগে যে চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন তারা ওই কিশোরের ব্যাপারে আমাকে অবগত করে গেছেন। তারা জানিয়েছেন যে, ওই কিশোর ব্লু হোয়েল গেমস খেলতে খেলতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার হাতে কোনো ট্যাটু আঁকা নেই, বাম হাতে কাটা দাগ আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এজেডএস/এসও/আরআইএস