শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জল তর্পণের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেবে রাজশাহীর সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়।
তাই সকালে থেকে মহানগরীর মন্দিরগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে সিঁদুর শুভক্ষণ ও শান্তিজল গ্রহণের জন্য রমনীদের ভিড়।
মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে নারীদের সিঁদুর খেলা। নারীরা তাদের ও পরিবারের কল্যাণে এ ধর্মীয় আচার পালন করেন। এছাড়া একে অপরকে আলিঙ্গণ করে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।
লাল সিঁদুর দেবী দুর্গার পায়ে নিবেদন করে সেই সিঁদুর পা থেকে তুলে নিয়ে সিঁথিতে দিয়ে আগামী দিনের জন্য শুভ কামনা করা হয় মন্দিরে মন্দিরে। এরপরই ভক্তদের মনে বেজে ওঠে বিদায়ের সুর।
মহানগরীর ত্রিনয়নী মন্দিরে পূজা সম্পন্নকারী ঠাকুর মিন্টু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলন, সিঁদুর খেলার প্রাথমিক ইতিহাস অজানা। তবে ধারণা করা হয়, সিঁদুর শুভক্ষণের এই আচার অনুষ্ঠান আনুমানিক ৪০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। যে সময় মানুষ সবেমাত্র দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু করে।
তিনি বলেন, সিঁদুর খেলার আগে-পরে কিছু নিয়ম রয়েছে। বিজয়া দশমী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। দিনটি শেষ হয় মহাআরতির মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সব কার্যক্রম শেষ হয়।
রোববার (০১ অক্টোবর) পবিত্র আশুরা হওয়ায় রাজশাহীতে বিকেলের পর থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হবে। রাতের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
তাই বিকেলে থেকে রাত অবধি রাজশাহী মহানগরীর ফুদকীপাড়ার পদ্মারতীরে বিসর্জনের জন্য ঢাক-ঢোল ও বাদ্য বাজিয়ে নেচে-গেয়ে নিয়ে আসা হবে একের পর এক প্রতিমা। দেবী দুর্গাকে বিদায় দেওয়া হবে নদীবক্ষে। এজন্য বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কঠোর নিরাপাত্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আগে থেকেই হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই বিকেল থেকে রাতের মধ্যে পদ্মার তীরে প্রতিমা বিসর্জন চলবে। এজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
এসএস/এএটি