বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আগুন দেওয়ার ঘটনার পর স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভায়।
ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে তারা হঠাৎ বাড়ির দু’টি ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন।
এ সময় তারা পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের জাগিয়ে তোলেন এবং তাদের নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এরই মধ্যে গ্রামবাসী বিষয়টি টের পেয়ে আগুন নেভাতে ছুটে আসেন।
এক পর্যায়ে আগুন নেভানো হয়। কিন্তু তার আগেই আগুনে আব্দুস সামাদের টিনের ছাউনির দু’টি ঘর, বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ পাশে থাকা দু’টি লিচু গাছ পুড়ে যায়।
আব্দুস সামাদের দাবি একই গ্রামের মুনসুর আলী ও মেজের আলীর সঙ্গে তার জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জের ধরে তারা অথবা তাদের লোকজন বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বর্তমানে ওই গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর মুনসুর আলীর বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও শাবলসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির বাইরে দেয়াল, জানালা, টিন যখম করেছে।
তাই শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আব্দুস সামাদ ও মুনসুর আলীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতিও নিরুপণের চেষ্টা চলছে। তারা মামলা করলে তদন্ত শেষে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পাবা থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এসএস/জেডএস