মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদরের নওয়াপাড়া মোড়ে তালগাছের বীজ রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হঠাৎ করে কেনো বেড়ে গেলো বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা- প্রশ্ন রেখে ডিসি বলেন, বেহিসেবি গাছ কেটে মানুষ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছে।
এসময় পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বলেন, একসময় প্রতিটি গ্রামেই তালগাছের দেখা মিলতো। অন্যান্য কিছু ওষুধি গাছের মতো এখন সচরাচর এই গাছেরও দেখা মেলে না! অথচ তালের রস থেকে আমরা সুস্বাদু কতরকম খাবারই না তৈরি করতে পারি। তালের পিঠা, তালমিশ্রি, তালের চিনি-গুড় ইত্যাদি।
তিনি বলেন, শুধু যে খাবার তৈরির কাজেই আসে তালগাছ তাও কিন্তু নয়, এই গাছ বজ্রপাত নিরোধক। যেসব গ্রামে বা এলাকায় তালগাছ আছে সেখানে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অতি নগণ্য। বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে বেড়ে যাওয়া মৃত্যুর ঘটনায় তালগাছ রোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারই ধারাবাহিকতা বা নির্দেশে দেশব্যাপী তালগাছ রোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গাছ শুধু রোপণ করলেই হবে না, এগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। তবে বীজগুলো থেকে অঙ্কুরোদগম হয়ে গাছে রূপান্তরিত হতে পারবে। তারপর সবাই তালগাছের সুফল ভোগ করতে পারবে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, বজ্রপাতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ সময় জানানো হয়, নেত্রকোনা সদরসহ ১০টি উপজেলায় ৫৫৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪২টি তালগাছ বা বীজ রোপণ করা হবে।
বীজ রোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও জেলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএম/