২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭টি স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্টগুলি দু’একদিনের মধ্যে স্থাপন শেষ হবে। এ পর্যন্ত ৬৯৮টি নলকূপ স্থাপন শেষ হয়েছে এবং বাকী নলকূপ তিন দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, এছাড়া ১৪টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং ৩০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার ৬টি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে ক্যাম্পগুলিতে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি বিতরণ ব্যবস্থা সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে রাস্তার পাশে ১০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। রিজার্ভারগুলোতে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। রিজার্ভার হতে শরণার্থীরা টেপের মাধ্যমে খাবার পানি সংগ্রহ করছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারে আরো ১৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখা রয়েছে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোধে ইতোমধ্যে শরণার্থী ক্যাম্পসমূহে ১৩৫০ কেজি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে এবং আরো ৬৫০ কেজি মজুত রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান হতে অধিদপ্তরীয় অতিরিক্ত জনবল নিয়োজিত করা হয়েছে। এদেও মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী ৩ জন, সহকারী প্রকৌশলী ৭ জন, উপসহকারী প্রকৌশলী ২১ জন, নলকূপ মেকানিক ২২ জন, ভি.এস. ম্যাশন/লেবার/ড্রাইভার ৩৮ জনসহ মোট ৯১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত আছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে চলমান কার্যক্রম তদারকী করছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ