মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশান-১ নিকেতনের একটি বাসা থেকে আফরিন মিতু জিনিয়া (২২) ও বেলা দেড়টার দিকে চকবাজার হরিনাথ ঘোষ রোডের একটি বাসা থেকে নার্স সীমা আক্তারের (২৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দু’টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মিতুর মা শাহনাজ বেগম জানান, ২০১২ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন মিতু। এর কিছুদিন পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। তবে গত কয়েকদিন থেকে তাদের মধ্যে আবার যোগাযোগ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিতু বাসা থেকে বেরিয়ে তার সাবেক স্বামীর কাছে যায়। পরদিন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাসায় ফিরে রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমায়। সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী বাংলানিউজকে জানান, শরিয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার দাশেরজঙ্গল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মিতু। পরিবারের সঙ্গে নিকেতনের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মিতুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে চকবাজার হরনাথ ঘোষ রোডের একটি বাসা থেকে ঢামেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সীমা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সীমা টাঙ্গাইল ধনবাড়ি উপজেলার মৃত আব্দুর সামাদের মেয়ে।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ওই এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এজেডএস/এসআরএস