এর আগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ডৌহাখোলা ইউনিয়নের চরশিরামপুর গ্রামের গাউছিয়া ফিসারিতে চোর সন্দেহে এ কিশোরকে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়।
সূত্রমতে, নিহত কিশোর সাগর ময়মনসিংহ নগরীর ষিশববাড়ী রেললাইন বস্তির বাসিন্দা।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, কিশোর সাগরকে সোমবার ভোরে চোর সন্দেহে আটক করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী এবং পরিত্যক্ত গাউসিয়া ফিশারির মালিক আক্কাস আলী।
আটকের পর ফিশারির সাইনবোর্ডের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ওই কিশোরকে বেধড়ক পেটায় আক্কাস আলী ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে ওই কিশোর মারা গেলে মরদেহ গুম করে রাখে আক্কাস আলী ও তার অনুসারীরা।
ডৌহাখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক সরকার বলেন, নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহামেদ জানান, নিহত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা শিপন মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তবে এ ঘটনার পর থেকেই জড়িতরা পলাতক থাকায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএএএম/জেডএস