মঙ্গলবার (২৬সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, সরকার অত্যন্ত জোড়ালোভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা ইস্যুকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনো বিষয় নজরে এলে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার সময় চেয়ারম্যান রাঙামাটির তবলছড়ি এলাকায় দুদকের সমন্বিত কার্যালয় অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন।
এরপর রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ আলোচনায় মিলিত হন। “দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা-দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি” বিষয়ে আয়োজিত বৈঠকে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার মো. রিদওয়ানুল হক, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, দুদকের তিন পার্বত্য জেলার সমন্বয়ক শফিকুল রহমান ভূইয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাঙামাটির সাপছড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাবার প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির একটি ফাইলও রাঙামাটি থেকে তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও রাঙামাটি জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও দুদক অনুসন্ধান করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে নানা ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ ও অফিসিয়ালি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে কিছুটা সময় লাগছে তবে দুদক বসে নেই। তাদের কাজ ঠিকই এগিয়ে চলেছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজে শতকরা ৬০ ভাগ সফলতা আসে সাংবাদিকদের মাধ্যমে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুদক কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ জানিয়ে রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্ট দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে দুদকের নজরে আনারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এ সময় দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিনসহ দুদকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সমন্বিত কার্যালয়ের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ