ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ঢাকার বাইরে এটা সব থেকে বড় দুর্গা উৎসব। বাগেরহাটে দুর্গাপূজার এ আয়োজন আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি খুবই আনন্দ।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির পূজা মণ্ডপে ষষ্ঠিপূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আয়োজক লিটন ও তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, দুর্গাপূজা বাংলাদেশ ও ভারতের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

ভারতের মতো বাংলাদেশেও শান্তিপূর্ণভাবে এ উৎসব উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ উৎসবে অনেক সময় দেন।  

এসময় তিনি সবাইকে সম্প্রীতির এ বন্ধন ধরে রাখার আহ্বান জানান।

এসময় ঢাকা-১ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়াল, ভারতীয় হাই কমিশনারের প্রথম সচিব রাজেশ উকে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদীর গামা, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, খুলনা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, হাইকমিশনারের অ্যাটাসে রঞ্জন মণ্ডল, সংগীত শিল্পি এন্ড্রু কিশোর, শিকদারবাড়ী দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুলালকৃষ্ণ শিকদার, পূজা উদযাপন পরিষদ বাগেরহাটের সভাপতি অমিত কুমার রায় ও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ বাগেরহাটের সভাপতি শিব প্রসাদ ঘোষের উপস্থিত ছিলেন। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি।

এর আগে দুপুর ১টায় হেলিকপ্টারে করে শিকদারবাড়ী পূজা মণ্ডপে পৌঁছান হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তারপর ষষ্ঠিপূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মণ্ডপ ঘুরে প্রতিমাগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।  

উল্লেখ, ২০১০ সালে ৩০১টি প্রতিমা নিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিকদারবাড়ীতে এ মণ্ডপে দূর্গার আরাধণা শুরু হয়। এরপর প্রতি বছরই এখানে বৃদ্ধি পেতে থাকে প্রতিমার সংখ্যা। এ বছর বিভিন্ন দেবদেবীর ৬৫১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। সনাতন ধর্মের চার হাজার বছরের পৌরাণিক কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। এ পূজা মণ্ডপ দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছে প্রতিদিন। ভারত, ভুটানসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পূর্ণার্থীরা আসে এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।