মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বরিশালের মণ্ডপগুলোতে মূলত সন্ধ্যা থেকেই তৈরি হবে পূজার আবহ।
রামকৃষ্ণ মিশনে সকাল থেকেই ষষ্ঠী পূজার আয়োজন শুরু হয়। যদিও এ আয়োজন অন্য মন্দিরে সন্ধ্যায় শুরু হবে।
রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিত সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আসা সুমন ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বা সায়ংকালে দেবীর বোধন পূজা হয়। অর্থাৎ, মাকে জাগানো হয়েছিল। মঙ্গলবার ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্যদিয়ে প্রথম কার্যক্রম শুরু। সন্ধ্যায় দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস হবে। অধিবাসের পর পরই মূল মণ্ডপে চলে যাবো। অধিবাসে যে মাঙ্গলিক উপকরণ ব্যবহার করা হবে তা মাকে স্পর্শ করা হবে। এই হলো প্রথম দিনের পূজার প্রথম কর্মসূচি। এরপর সপ্তমী দিনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
এবছর পঞ্চমীর দিন বোধন হওয়ায় পূজা একদিন বাড়তি হবে বলে জানান রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিজিতাত্মানন্দ। তিনি বলেন, এবারে পঞ্চমীর দিন বোধন পূজা হয়েছে, যা হিসাব অনুযায়ী ষষ্ঠীর দিনে হওয়ার কথা। এসময় তিনি সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করেন।
এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে দ্বি-স্তরের। আনসার, পুলিশের পাশাপাশি গোপনে গোয়েন্দা নজরদারি থাকছে। এবার বরিশাল নগর ও জেলায় মণ্ডপ সংখ্যা ১৫টি বেড়ে ৫শ ৮৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএস/এএ