পাশাপাশি আলামত নষ্টের জন্য আরো তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল হাওলাদার পিরোজপুর পৌর শহরের বড় খলিশাখালী গ্রামের মৃত খালেক হাওলাদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার খারদার গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মো. শহিদের সঙ্গে সোহেল হাওলাদারের ভাল সর্ম্পক ছিল। সোহেল বাগেরহাটের নোনাডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন। সোহেল ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট শহিদকে নিয়ে তার মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুরের বড় খলিশাখালি গ্রামে আসেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে শহিদকে নিয়ে ডাব খাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী ওদোনকাঠি গ্রামে বাগানবাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেখানে শহিদকে দায়ের পেছনের অংশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোহেল।
পরে মরদেহ ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়। ঘটনার পরদিন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের মালিক লিটন শেখ শহিদকে খুঁজে না পেয়ে সোহেলের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে পিরোজপুরে আসেন। এরপর সোহেলের বাড়িতে গিয়ে সোহেলের মাসহ ওদোনকাঠি গ্রামের প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ নিয়ে বাগানবাড়িতে যান। সেখানে একটি ডোবার মধ্যে শহিদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনায় লিটন শেখ বাদী হয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ সোহেলকে গ্রেফতার করার পর সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
২০১০ সালের ২২ অক্টোবর পিরোজপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক বাদল কৃষ্ণ সোহেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ