সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ কল্যাণপুর নাভানা গার্ডেন এলাকায় একটি লাশবাহী গাড়ি থেকে ময়নার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর রাতে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ময়না খুলনার কয়রা উপজেলার মৃত বারেক গাজির মেয়ে। তিনি কল্যানপুর নাভানা গার্ডেন তৃতীয় তলায় রফিকুল ইসলাম বাসায় কাজ করতেন।
মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে ময়না নাভানা গার্ডেন পঞ্চম তলায় ছাদে বিষপান করার সময় প্রতিবেশিরা দেখতে পেয়ে গৃহকর্তার রফিকুল ইসলামের পরিবারে খবর দেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইবনেসিনা হাসপাতাল, পরে সোরওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর এ ঘটনা পুলিশকে না জানিয়ে গৃহকর্তা ময়নাকে লাশবাহী গাড়িতে তুলে তার দেশের বাড়িতে পাঠানো প্রস্তুতি নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, ময়না ছয় মাস আগে এক যুবককে বিয়ে করেন। গত তিনদিন আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ কারণে ময়না বিষপানে আত্নহত্যা করতে। তার শরীরে কোনে আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এজেডএস/এনটি