আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এই আধুনিক মেশিন এবারই প্রথম আনা হবে দেশে। দশটি শিক্ষা বোর্ড, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা, সরকারি কর্ম কমিশন(পিএসসি), সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট(জেডিপিস) প্রশ্নপত্র এই মেশিনে ছাপা হবে।
পাশাপাশি বাজেট, রিপোর্ট, বিল,আইন, অধ্যাদেশ, লিফলেট, পোস্টার, আদেশপত্র, অর্থনৈতিক সমীক্ষা,জার্নাল, ফরম, ডিও প্যাড, ডিও খাম, দাওয়াতপত্র, ভৌগলিক ও রাজনৈতিকপট পরিবর্তন সংক্রান্ত কাগজপত্রও বিশেষ গোপনীয়তা বজায় রেখে ছাপা হবে এই মেশিনে।
মেশিনটি চালাতে চারজন বিদেশি প্রশিক্ষণ অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া মেশিন অপারেট করার জন্য কিছু সহায়ক ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতিও কেনা হবে। এতে যন্ত্রের দাম ও অন্যান্য খরচ সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় এই মেশিন ক্রয়ের। ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব অটোমেটেড, ডিজিটাল, এনক্রিপটেড প্রিন্টিং সিস্টেম ফর কনফিডেনসিয়াল সেকশন অব বিজি প্রেস’ প্রকল্পের আওতায় মেশিনটি কেনা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এফ. আমিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বিজি প্রেস অনেক স্লো। এর উৎপাদন ক্ষমতাও কম। এই মেশিনের মাধ্যমে বিজি প্রেসের সব কিছু অটোমেশনে চলে যাবে ক্যাপাসিটিও বাড়বে। সরকারের সকল কিছু এখানে ছাপা হবে নিরাপত্তাও বাড়বে। প্রায় সময়ই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। সব কিছু স্বয়ংক্রিয় হলে শুধু প্রশ্নপত্র নয় আর কোনো কিছু ফাঁসের ঘটনাই আর ঘটবে না। ’
তিনি বলেন,এই মেশিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নপত্র ছাপা হবে। বর্তমানে এনালগ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ছাপা হয় ফলে অনেককেই মেশিনের কাছে থাকতে হয়। কিন্তু নতুন মেশিনের কাছে কাউকে থাকতে হবে না। প্রশ্নপত্র ছাপার পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেপ্যাকিংও হবে। এর পরে প্রয়োজন অনুসারে শুধু মাত্র পরীক্ষার হলেই খোলা হবে প্রশ্নপত্র।
২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ পুরোদমে কাজ শুরু করবে এই মেশিনটি। আশা করা যায়, এর মধ্য দিয়ে দেশ থেকে চিরতরে দূর হবে প্রশ্নফাঁসের ব্যাধি।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এমআইএস/আরআই