সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার হলে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান। প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৬ বিষয়ে সম্মেলনের আয়োজন করে মানবাধিকার সংস্থা ‘আর্টিক্যাল ১৯’।
এ আইন ডিজিটাল জগত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, নিরাপত্তার জন্য--উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) প্রেসিডেন্ট ইনু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিরাপদ করতেই এ আইন তৈরির কাজ চলছে।
প্রস্তাবিত আইনের বিশেষ দিকগুলোর কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মৌলিক মানবাধিকার, নারী-শিশুসহ সকলের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও এ আইনে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত। কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকারও নিশ্চিত করবে আইনটি। সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধানও এতে থাকবে।
বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সোহেল রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ‘আর্টিক্যাল ১৯’ এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক তাহমিনা রহমান।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান, আইওএফ চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুদ্দোহা, ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ, সিটিও ফোরাম প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার, আইনি সংস্থা ব্লাস্টের কর্মসূচি সমন্বয়ক শরাবান তহুরা জামান, বিআইজিএফের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হক অনু, সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ সম্মেলনে অংশ নেন।
জাতীয় সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এইচএ/
