আমাদের জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাঁধা সৃষ্টি করছে এই বাল্যবিয়ে। তাই বাল্যবিয়ে বন্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুশান্তময় চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাল্যবিয়ে বিরোধী ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপিকা বাঞ্চিতা চাকমা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বেগম হোসনে আরা, অ্যাডভোকেট সুষ্মিতা চাকমা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি মং ইয়ে প্রমুখ।
ক্যাম্পেইনে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. জানে আলম।
এমপি চিনু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের যে সব প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে সেসব এলাকায় এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
এসময় ছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার স্কুল থেকে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত সব স্তরে ছাত্রীদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার সূযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি উপবৃত্তি চালু করেছে। তাই এ ব্যাপারে তোমাদের নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার আগে সজাগ হতে হবে।
প্রচারাভিযানের উদ্বোধনকালে ইউনিসেফ পরিচালিত জরিপের সূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়, তিন পার্বত্য জেলায় বাল্যবিয়ের হার এখনো শতকরা ৪০ ভাগ। এর মধ্যে ১৫ বছরের আগেই শতকরা ৯.৮% ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়। এর মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় এই হার শতকরা ১৩.৪%। তিন পার্বত্য জেলায় ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ের শতকরা হার ৪১.৬% এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় এই হার শতকরা ৪৪.৫%.। বাল্যবিয়ের সার্বিক চিত্রে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয়। তাই এখানে আমাদের বাল্যবিয়েরোধী প্রচারাভিযান জোরদার করতে হবে।
রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, আইসিডিপির পাড়াকর্মী, সাংবাদিক এ প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ