সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে হাতিবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কেশব চন্দ্রকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সুমন এ কলেজের অনার্স শাখার ইংরজি বিষয়ের শিক্ষক।
হাতিবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান মামুনের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, সুমন কলেজ রোডের প্রজাপতি স্টুডিও সংলগ্ন ব্যক্তিগত কক্ষে প্রাইভেট পড়াতেন। প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে ছাত্রীদের বিভিন্ন কৌশলে বশ করে যৌনাচারে লিপ্ত হতেন। যার প্রায় অর্ধশত ভিডিও রয়েছে। শনিবার এক ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষকের যৌনাচারের আপত্তিকর কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত সুমনকে বহিষ্কার করে আইনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে উপজেলা ছাত্রলীগ।
এ অভিযোগের অনুলিপি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, উপজেলা ছাত্রদলও ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে পৃথক অভিযোগ করেছে।
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত সুমন এসব বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। হয়তো পারিবারিক শত্রুতার জন্য এমনটি করা হচ্ছে। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। পারিবারিকভাবে বসে এ ব্যাপারে কি করা যায় সে সিদ্ধান্ত নেবো।
হাতিবান্ধা থানা ওসি শামিম হাসান সর্দার বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগের অনুলিপি তিনি পেয়েছেন। অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
হাতিবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এসআই