ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর মাধ্যমেই সংকটের সমাধান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর মাধ্যমেই সংকটের সমাধান বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি; ছবি- সুমন

ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থী  সংকট মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে। সুতরাং তাদেরই তা সমাধান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছেন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে অবশ্যই ফিরে যেতে হবে। তার বক্তব্যের সঙ্গে জাতিসংঘ সহমত প্রকাশ করে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল আমারিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

ফিলিপো গ্রান্ডি বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে  আমি বৈঠক করি।

সেখানে আমি বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি আমাকে স্বাগত জানান। আমি জরুরি ভিত্তিতে এখানে আসি।
সেখানে বৈঠকে তিনি আমায় বলেছেন, রোহিঙ্গাদের  নিজ দেশে ফেরার মধ্যেই সংকটের সমাধান।

রোহিঙ্গাদের অবশ্যই নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে উল্লেখ করে ফিলিপো গ্রান্ডি বলেন, সবার আগে রাখাইনে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। সীমান্তে মাইন অপসারণ করতে হবে। সকল সমস্যা সমাধান কফি আনান রিপোর্টে বলা আছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রাথমিকভাবে সহায়তা হিসেবে ৭৭ মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হাইকমিশনার ফিলিপো বলেন, তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে শনিবারই ঢাকা হয়ে কক্সবাজার যাই। দুই দিন কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি এলাকায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পরিদর্শন করি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী স্থানান্তর। মাত্র এক মাসের মধ্যে ৪ লাখ ৪০ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছে।  

এত অল্প স্থানে এত মানুষ বাস করছে যার একদিকে নদী, একদিকে সীমান্ত, অন্যদিকে সাগর।  এ এক সংকটময় অবস্থা। সবচেয়ে অসহায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। যারা এসেছেন, তারা শারীরিক, যৌন নির্যাতন  থেকে এমন কোনো অত্যাচার নেই যা সহ্য করেনি।

ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রশংসা করতেই হয় এমন মানবিক আচরণ করার জন্য। অনেক দেশই এমন অবস্থায় সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অনেক মানুষ সাহায্য দিয়েছে।

এখন শরণার্থীদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র, পানি ও পয়:নিষ্কাশন দরকার। খাদ্য নিয়মিত বিতরণও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু খাদ্য নয় শিশুদের শিক্ষাও খুব দরকার।

মিয়ানমারে সেভ জোন প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, যারা এমন সন্ত্রাসের শিকার,তারা ফিরে যাবে কীভাবে। সেখানে  সেভ জোন তৈরি করলেই হবে না। এটি করতে সংশ্লিষ্ট দেশের সম্মতি পেতে হবে এবং এটি দীর্ঘতর প্রক্রিয়া। রাখাইন রাজ্য নিরাপদ না করলে তারা ফিরে যাবে কীভাবে। তাদের জোর করে পাঠানো ঠিক হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪
কেজেড/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।