সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের (২) বিচারক মনসুর আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জমনি গ্রামের ওহির উদ্দিনের ছেলে। একই মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয় দু’জনকে। এরা হলেন- রফিকুলের মা বিলাতুন নেসা ও বড় ভাই মফিজুল ইসলাম। এর মধ্যে গৃহবধূর শাশুড়ি বিলাতুন নেসা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। আর ভাসুর মফিজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০০৭ সালের ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ রিনা খাতুনকে তার স্বামী রফিকুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইয়াসিন আলী মোল্লা বাদী হয়ে রিনার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
ঘটনার ছয় বছর আগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার রামরামা গ্রামের মৃত আমির মোল্লার মেয়ে রিনা খাতুনের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই রফিকুল যৌতুকের দাবিতে রিনার ওপর অমানসিক নির্যাতন চালাতেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে পর পর চার সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু তিনজন মারা যাওয়ার পর এক ছেলে জন্ম হয়। হৃদয় নামের তার ওই ছেলে এখন মামাদের কাছে থাকে।
অ্যাডভোকেট ইসমত আরা আরও জানান, মামলার তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুঠিয়া থানা পুলিশ। পরে আদালতে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। পরে দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে গৃহবধূ রিনা হত্যা মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা। আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭/আপ: ১৪৩০ ঘণ্টা
এসএস/এএ