ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘কেনো লাশ হলো শিশু রুহি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
‘কেনো লাশ হলো শিশু রুহি’ শিশু রুহি

ঢাকা: দুই দিন আগে প্রতিবেশি সহপাঠী বান্ধবী শোভার জন্মদিন ছিলো। শিশু রুহি যাবে বলে সাদা একটা ফ্রগ পরে ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে বাবা রেজাউর ও চাচা রবিউলকে নিয়ে জন্মদিন অনুষ্ঠানে গেলো। কত আনন্দ ফূর্তি করলো, কেক কাটলো। সে কি হই হুল্লোর!

দুই দিন আগের হাসি-খুশি শিশু রুহি  আজ কেন লাশ হলো, এই নিষ্পাপ শিশুকে কেন হত্যা করলো? সমাজের কাছে এভাবে জব‍াব চাইলেন নিহত শিশুর চাচা রবিউল ইসলাম।  

চাচা জানান, শিশু রুহির খাবারের প্রতি তেমন আগ্রহ ছিলো না।

তবে ম্যাংগোবার তার খুব পছন্দের ছিলো।  

রাজধানীর কদমতলী শামীমবাগ এলাকার পুরাতন একটি টিনশেড বাড়ি থেকে রুহি করিম নামে সাড়ে ৪ বছর বয়সী এক শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কদমতলীর শামীমবাগ এলাকার মেডিকেল রোডের ওই বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ  ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

শিশুর মামা তৌফিকুর রহমান চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, রুহি তাকে পেলে ঘুমাতো না, আমি তাদের বাসা থেকে যদি চলে যাই, সে বায়না ধরতো আমি চলে গেলে  স্কুল যাবে না।  

মামা আরো জানান, আমি নিজ হাতে তাকে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। এরপর আর কোনো কথা বলতে পারেন না। একটু চুপ হয়ে যান, চোখের কোনে জমে থাকা জল মুছতে মুছতে বলেন  আর কিছুই বলার নেই ভাই, রুহির জন্য  দোয়া করবেন।  

কদমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, ঘটনার পরপরেই হাসিবুর রহমান হাসিব (১৭) নামে এক যুবককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শিশু রুহিকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় যুবকটি।

ওসি জানান, পটুয়াখালী থেকে ৪ থেকে ৫ দিন আগে শামীমবাগে তার মামা মেহেদীর বাড়ীতে আসে হাসিব। মাদকাসক্ত ছিলো হাসিব, ইয়াবা সেবন করতো। দুপুরে দিকে রুহি খেলতে নিচে নামলে তাকে ধরে পাশেই পুরাতন টিনসেট ঘড়ে নিয়ে লুঙ্গি দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে শিশু রুহির।  

এতে রুহি চিৎকার করার চেষ্টা করে, হাসিব তার নাকে মুখে জোর করে লুঙ্গি দিয়ে গিট দেয়। এতে শিশুর রুহির শ্বাসবন্ধ হয়ে মারা যায়। পরে হাসিব তার মরদেহ ঝুঁলিয়ে রাখে।

ওসি আবদুল জলিল জানান, নিহত রুহির বাবা একটি ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসাবে চাকরি করেন। আসামি হাসিবের উদেশ্য ছিলো রুহিকে জিম্মি করে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাদক সেবন করবে।  

পুলিশ জানান,  আসামি হাসিবকে সকালের দিকে আদালতে পাঠানো হবে।

**রাজধানীতে শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ, পুলিশের ধারণা হত্যা

বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এজেডএস/এমসি/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।