রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বাচ্চু এ আদেশ জারি করেন।
জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের বেতাগী উপজেলায় আসা উপলক্ষে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পৌর শহরের স্টেশন রোডের পৌর কার্যালয়ের সামনে ও মোকামিয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার মাঠে পৃথকভাবে উপজেলা ও পৌর বিএনপি দু’টি কর্মী সমাবেশের আহ্বান করে।
একই দলের দুটি সভার প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও পৌর শাখার দু’টি গ্রুপের মধ্যে মারপিট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কায় ওই দুই এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।
এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ওই স্থানে সভা, সমাবেশ, শব্দ দূষণ ও যে কোন ধরনের অস্ত্র-আগ্নেয়াস্ত্র বহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয় বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে ও বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ওই স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স নিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বাচ্চু বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান কবির বলেন, এটা কোনভাবেই মানা যায়না। ঠুনকো অজুহাত তুলে সমাবেশ বন্ধ করার মাধ্যমে সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ কে বাধাগ্রস্ত করেছেন। আমরা এর ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
বেতাগী পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মো. হুমায়ূন কবির বলেন, সরকার বিএনপির জনসমর্থন কে ভয় পায়। তাই কর্মী সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এবিষয়ে বেতাগী থানার ওসি মামুন-আর-রশীদ বাংলানিউজকে জানান, কেউ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এসএইচ