রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কদমতলীর শামীমবাগ এলাকার মেডিকেল রোডের ওই বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রুহি মেডিকেল রোডেরই ২ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তার বাবা রেজাউল করিম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রুহি পড়তো স্থানীয় একটি স্কুলের শিশু শ্রেণিতে। 
তার মামা তৌফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সকালে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে নাস্তা খেয়ে মায়ের অনুমতি নিয়ে নিচে খেলতে যায় রুহি। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রুহির বাবা রেজাউল তাদের বাসার পাশেই ওই পুরনো টিনশেড বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে রুহিকে বাড়িটির জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
তৎক্ষণাৎ রুহিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তৌফিকুর বলেন, রুহিকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। কিন্তু তারপরও কারা কেন রুহিকে হত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না আমরা।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, রুহিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এজেডএস/এইচএ/
