ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীর ৮৩৬ পূজামণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
নীলফামারীর ৮৩৬ পূজামণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

নীলফামারী:  সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুয়ারে উঁকি দিচ্ছে সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত উৎসবে মাতবেন অন্যরাও।

নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলার ৮৩৬টি মণ্ডপে চলছে পূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি। উৎসবকে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।



জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতর সূত্র জানায়, ৮৩৬টির মধ্যে ডিমলায় ৭৭টি, ডোমারে ৯৩টি, জলঢাকায় ১৬৪টি, কিশোরগঞ্জে ১৪৪টি, সদরে ২৭৮টি এবং সৈয়দপুরে ৮০টি মণ্ডপে এবার পাঁচদিনের পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সৈয়দপুর শহরে এবারে মোট ১৮টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিমা নির্মাণ শেষে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন রং করতে ও সাজাতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ।
 

উপজেলার হিন্দু কল্যাণ সমিতির দুর্গাপূজা এবার পড়েছে ৯০তম বছরে। শান্তিপূর্ণ উৎসব উদ্‌যাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত কুমার আগরওয়াল।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সুশিল কুমার আগরওয়ালের সময় থেকে এ শহর তথা জেলার প্রাচীনতম এ দুর্গাপূজার ব্যাপকতা প্রকাশ পায়। শুরু থেকে শহরের কোনো পূজা উৎসবে কোনো ধরনের অশান্তি হয়নি। এ বছরও শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে উৎসবের ভাগিদার সকলেই হবেন, এটি নিশ্চিত’।

‘ধর্ম যার যার, আনন্দ-উল্লাস হোক সবার। সকল ধর্ম-গোষ্ঠীর মানুষ যেন উৎসবে অংশ নিতে পারেন, তার সকল ব্যবস্থাই করা হয়েছে’।

তবে উৎসব করতে গিয়ে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারেন, সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি রাজ কুমার পোদ্দার।

হিন্দু কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তুষার কান্তি রায় বলেন, সৈয়দপুর শহরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আন্তরিকতার কমতি নেই কারো। ৯০ বছর ধরে এখানে ব্যাপক আয়োজনে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজার উৎসব উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে।


সুষ্ঠ‍ুভাবে দুর্গাপূজা উৎসব আয়োজনে জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো নাশকতা এড়াতে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

মন্দিরগুলোতে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রাহীম। তিনি বলেন, সরকার থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডবে কিছু সহায়তা দেওয়া হয়, এবারও দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনে শুরু হবে দুর্গোৎসব। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও আরতিতে মুখরিত হবে শহর, পাড়া-মহল্লা ও গ্রাম। এ বছর মা দুর্গা নৌকায় চড়ে মর্ত্যে আসবেন। আবার কৈলাশে ফিরে যাবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চেপে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।