রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ময়নাতদন্তের সময় সংরক্ষিত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবেদন আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। এদিকে মামলার তদন্তও শেষ পর্যায়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রেফতারকৃত ছোঁয়া পরিবহনের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হচ্ছে। অভিযোগপত্রে ২০ থেকে ২২ জনকে সাক্ষী করা হচ্ছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা থাকছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ