রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় কলিকে।
এসময় গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আদালতের কাছে তার ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাইপাস এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
কোহিনুর আক্তার কলি গুরুদাসপুর উপজেলার জুনাইনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস আলীর মেয়ে ও জেএমবির পলাতক সদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে কলির স্বামী জেএমবি সদস্য মাসুদ রানা জড়িত ছিলেন। সেসময় পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মাসুদ রানা। পরে কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও মাসুদ রানাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এছাড়া কোহিনুর আক্তার কলিও জেএমবির একজন নারী সদস্য। সেসময় কলিও ওই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এজন্য তাকেও আটকে তৎপর ছিল পুলিশ।
তিনি আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, জেএমবি সদস্য কলি কক্সবাজার থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসে করে রাজশাহী যাচ্ছেন। এ খবরের ভিত্তিতে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা বনপাড়া এলাকায় অবস্থান নেন এবং ওই বাস তল্লাশি করে কলিকে আটক করেন। পরে তাকে জেএমবি ও নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ