ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রাজধানীতে ৪ দিনে দগ্ধ ১০, মৃত্যু নারীর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
রাজধানীতে ৪ দিনে দগ্ধ ১০, মৃত্যু নারীর বার্ন ইউনিটের ৩য় তলার একটি ওয়ার্ডে দগ্ধরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে গত চারদিনে পৃথক ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু ও একই পরিবারসহ আগুনে ১১ দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন নামে একজন মারা গেছেন।

বর্তমানে দগ্ধ ১০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢামেক বার্ন ইউনিটে আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বাংলানিউজকে জানান, বাড্ডার অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় দগ্ধ জেসমিন ৭৫ শংতাশ বার্ন নিয়ে চিকিৎসাধীন সকালে তার মৃত্যু হয়।

শ্যামপুরের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এনায়েত ৯০ শতাংশ বার্ন নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিরা ঢামেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও বেশি ভালো না। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

তিনি পার্থ শংকর পাল আরও জানান, বাড্ডায় জিসান ১১ শতাংশ, তার বোন সানজিদা ২৮ শতাংশ, শ্যামপুরের দগ্ধ মরিয়ম ১৭ শতাংশ, তার তিন সন্তান সিমলা আক্তার এ্যানি ১২ শতাংশ, হাবিবা ১৯ শতাংশ, জুবায়ের ১৬ শতাংশ এবং ফকিরাপুল এলাকার দগ্ধরা হলেন-সুজন ২০, তাহামিন ১৩ ও মুক্তার হোসেন ১৫ শতাংশ পুড়েছে।

ঘটনাগুলো হলো বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে শ্যামপুরে লাল মসজিদ সংলগ্ন ৩ নম্বর রোডের পঞ্চম তলা একটি বাড়ির নিচ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়।

এ পাঁচজন হলেন মুদি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ এনায়েত (৪০), তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), তাদের ৩ সন্তান এ্যানি (৫ বছর), হাবিবা (৩ বছর ৬ মাস) ও জুবায়ের (২ বছর)। ওদিন ভোরে পাঁচজনকেই দগ্ধ অবস্তায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফকিরাপুলের গরমপানির গলিতে একটি প্রেস কারখানায় গ্যাস পাইপ লিকেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে কারখানার মালিকসহ তিনজন দগ্ধ হন।  দগ্ধরা হলেন কারখানার মালিক সুজন সিকদার (২৪), কর্মচারী মুক্তার হোসেন (১৮) ও তাহমীন (১৩)। ঘটনার পরপর দগ্ধদের ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে বাড্ডায় বৈঠাখালি এলাকায় বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনে একটি ভাঙারি দোকান পুড়ে যায়। ভাঙারি দোকানের উপর ঝুপড়ি ঘরে দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন জেসমিন আক্তার। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হয়। দগ্ধ অবস্থায় জেসিমন আক্তার ও তার ছেলে জিসান মেয়ে সানজিদাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকি‍ৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন সকাল ঢামেক বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ঢামেকে হামপাতালের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের পৃথক তিনটি ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় তারা দগ্ধ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এজেডএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।