ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ত্রাণ গৌণ, মুখ্য ছিলো রোডমার্চ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
‘ত্রাণ গৌণ, মুখ্য ছিলো রোডমার্চ’

সিলেট: সিলেট থেকে টেকনাফ রোডমার্চ করতে না পারার বিষয়ে বিতর্কে পড়েন ‘হিউম্যানিটি ফর রোহিঙ্গা’ নামক সংগঠনের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী।

বিতর্কের জবাব দিতে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থার বিষয়টি বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতে রোড মার্চ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলো। ত্রাণের বিষয়টি সেখানে মুখ্য ছিলো না, রোর্ডমাচই ছিল মুখ্য।

অথচ রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তার নামে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করা হচ্ছে। যা কাম্য হতে পারে না।

রোড মার্চের নামে কোটি টাকার প্রশ্নে বলেন, কারো টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। যা অনুদান এসেছে তার তালিকা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।

রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ ও রোডমার্চ নিয়ে সমালোচনায় অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী বলেন, গত আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ থেকে মিয়ানমারের সেনা ও বৌদ্ধরা যখন রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোন এমনকি হিন্দুদের ওপর অতীতের নির্যাতনের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বর্বরোচিত হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। বিশ্বের বিবেকবান সকল মানুষ এতে স্তম্ভিত। বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতে অতীতে টিপাইমুখে বাধ বিরোধী লং মার্চের ন্যায় রোড মার্চ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

২১ সেপ্টেম্বর যথাসময়ে সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে রোড মার্চ কাফেলা রওয়ানা দিয়ে পথিমধ্যে পুলিশি বাধার মুখে রোড মার্চ সিলেটের রশিদপুর এলাকায় সমাপ্ত করতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল রোড মার্চ। ত্রাণ সংগ্রহ বা এ ব্যাপারে চাঁদা সংগ্রহের কোনো সুযোগ ছিলো না। আমাদের সবক’টি সংবাদ সম্মেলন, পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার অথবা প্রশাসনের কাছে অবগতিপত্রের দরখাস্তের কোথাও ত্রাণ বিষয়ে কোনো কথা আকারে ইঙ্গিতেও উল্লেখ ছিলো না।

যেহেতু আমাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো-‘রোড মার্চের কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান’। সুতরাং এই রোড মার্চে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজির হয়েছিলেন স্ব স্ব উদ্যোগে, রোহিঙ্গাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে।  

কর্মসূচিতে দেশ ও বিদেশের দরদী জনতা সর্বসাকুল্যে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। যদি কেউ এর বাইরে এক টাকা দেওয়ার প্রমাণ দিতে পারেন, তাদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে শাহীনুর পাশা যারা কর্মসূচিতে দান করেছেন তাদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনিটরিং সেলের পক্ষ থেকে কোনো গাড়ি রোড মার্চের দিন ভাড়া করা হয়নি। দু’সপ্তাহ গণসংযোগের জন্য বিভিন্ন এলাকায় সুধীদের গাড়ি নিজ উদ্যোগে ভাড়া করে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছি। এখন কেউ যদি তার সাধ্যানুযায়ী ১০/১৫ কিলোমিটার গিয়ে ফিরে আসে, তাহলে আমাদের করার কি আছে।

তিনি বলেন, টেকনাফ পর্যন্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়েছিলাম। পথিমধ্যে বাধাগ্রস্ত হয়ে রোড মার্চ সমাপ্ত করতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- হিউম্যানিটি ফর রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অন্যতম সদস্য মাওলানা আলী নূর, মিডিয়া সমন্বয়কারী মাওলানা কবির আহমদ খান, মাওলানা মোসাদ্দিক আহমদ, আকিকুর রহমান পীর, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ উবায়দুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এনইউ/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।