আটকরা হলেন- মো. সারোয়ার কামাল (৩২), এনামুল হক নয়ন (৩২), আবদুল আজিজ (৬৪), আজিজের স্ত্রী নিলুফার ওরফে রীনা বেগম (৫৫), দুই সন্তান মো. সুমন (৩২) এবং মো. রতন (২৫)।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ‘ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে’ (আবাসিক) অভিযান পরিচালনা করে। পরে হোটেলের ১০ তলার ১০৪ নং রুম থেকে ইয়াবাট্যাবলেট বিক্রি ও টাকা লেনদেনের সময় হোটেল ম্যানেজার এনামুল হক নয়নসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ইয়াবাট্যাবলেট লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও জানান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনের ম্যানেজার এনামুলের সহায়তায় সারোয়ার কামাল ইয়াবার একটি চালান আবদুল আজিজকে দেয়। এ সময় আজিজের স্ত্রী নীলুফার ও তার দুই ছেলে মো. সুমন এবং মো. রতনসহ টাকা নিয়ে হোটেলে এসেছে বলে স্বীকার করে।
ইয়াবার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে আসামি সারোয়ার কামাল জানায়, চট্টগ্রামে বসবাসরত বার্মিজ নাগরিক দীর্ঘদিন যাবত মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন কসমেটিক্স, শাড়ি-কাপড় আমদানির আড়ালে ইয়াবা ট্যাবলেট আমদানি করছিল। তিনি বিভিন্ন কায়দায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ট্যাবলেট সরবরাহ করে আসছে। তারই এজেন্ট হিসাবে সারোয়ার কামাল ইয়াবার একটি চালান কাপড়ের গাইডের মধ্যে লুকিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের হাটহাজারী শাখা থেকে ঢাকার উত্তরা শাখায় একটি ভুয়া ঠিকানায় পাঠায়। এই চালানটি ডেলিভারি দেওয়ার জন্য তিনি ঢাকায় আসেন।
তিনি জানান, এর আগে চট্টগ্রাম থেকে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ৬ হাজার পিস ইয়াবার একটি চালান গত ২৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুর থেকে ডেলিভারি করে আজিজের কাছে হস্তান্তর করার কথা ও স্বীকার করেন সারোয়ার।
ইতিপূর্বে তিনি সুন্দরবন কুরিয়ার ও কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান কৌশলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেলিভারি দিয়ে পুনরায় চট্টগ্রামে ফিরে যেতো।
ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ পেশাদার একজন ট্রাকচালক। তিনি তার পেশাগত কাজের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সরবরাহ ও বিকিকিনি করতো। এতে প্রচুর লাভ হওয়ায় তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের একই কাজে নিয়োজিত করে। ঢাকা, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের দিয়ে ইয়াবা ডেলিভারি দিতো বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আজিজ।
তাদের বিরুদ্ধে আনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এসজেএ/আরআইএস/