এবার পটুয়াখালী জেলার আট উপজেলায় ১৮১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ওই মণ্ডপগুলোতে চলছে পূজার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতির।
কমিটির সাধ ও সাধ্যের মধ্যে উৎসবকে রাঙিয়ে নিতে ইতোমধ্যে অধিকাংশ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন অধিকাংশ দেব-দেবীর গায়ে রঙ ও তুলির আঁচড় আর মণ্ডপে চলছে রঙ-বেরঙয়ের বাতি দিয়ে আলোক সাজসজ্জার কাজ।
পাশাপাশি আড়ম্বরপূর্ণভাবে উৎসবটি উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে নিরাপদ, নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের জন্য প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সর্বোচ্চ আটজন করে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক মোতায়ন থাকবে। এর বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হবে পূজা মণ্ডপগুলোকে ঘিরে।
জেলায় পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সাদা পোশাকধারীর পুলিশ মোতায়ন থাকবে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি পূজামণ্ডপের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে বলে আয়োজক কমিটি থেকে জানা গেছে।
অপরদিকে জেলার প্রতি পূজামণ্ডপের জন্য সরকারি পাঁচশ' কেজি করে বরাদ্দকৃত চাল দেওয়া হয়েছে বলে বিষয়টি জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যলয়।
পটুয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল বরণ দাস বাংলানিউজকে জানান, 'পটুয়াখালীতে এবারে ১৮১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। যার মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৭টি, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি, দুমকি উপজেলায় সাতটি, বাউফল উপজেলায় ৬৫টি, দশমিনা উপজেলায় ১৫টি, গলাচিপা উপজেলায় ২৭টি, কলাপাড়া উপজেলায় ১৬টি ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় সাতটি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শুরু শারদীয় দুর্গাপূজার মহালয়া হয়ে গেছে। মহালয়ার পার্বণ শ্রদ্ধের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। এবার দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আসবেন নৌকায়। যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। আর বছর জুড়ে ভক্তকুলের জন্য দেবী রেখে যাবে শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণের বাণী ও আশির্বাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এমএস/এএটি/