৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে ‘চা বাগান কর্মীদের জন্য পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
ডিপিএইচই সূত্র জানায়, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পরিবেশগত স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণের মাধ্যমে চা বাগানের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
চা বাগানগুলোর ৩৫ হাজার ২৫৯ হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ৬ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়। কিন্তু সেগুলোর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক ও অপ্রতুল। শ্রমিকদের চাহিদা পূরণেও তা যথেষ্ঠ নয়। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় তাই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। চা খাতকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও চা শ্রমিকদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে সিলেটের কয়েকটি চা বাগান পরিদর্শনও করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কাদেরী।
আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কাদেরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘চা শ্রমিকদের জীবনযাপন খুবই মানবেতর। বিশেষ করে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পান না তারা। চা বোর্ডের সুপারিশের আলোকে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি করা হয়েছে। আমি কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনও করেছি, যেন ১৬২টি চা বাগানের কোনো এলাকাই বাদ না পড়ে। সব চা বাগানেই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।
‘চা বোর্ডের পরামর্শে কাজ করছি আমরা। আশা করছি, এবার দেশের সকল চা শ্রমিক সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার আওতায় আসবেন’।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর